ভূমিকা:
argentina vs brazil ফুটবলের দুটি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল। এই দুই দলের মধ্যকার ম্যাচ সবসময়ই থাকে দর্শকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এই দুই দলের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধুমাত্র খেলার মাঠে সীমাবদ্ধ নয়, এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছড়িয়ে আছে সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রেও।
ইতিহাস
আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল উভয় দলই ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সফল দল। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতেছে ৩ বার, ব্রাজিল জিতেছে ৫ বার। কোপা আমেরিকাতেও আর্জেন্টিনা জিতেছে ১৫ বার, ব্রাজিল জিতেছে ১০ বার। এই দুই দলের মধ্যকার প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় ১৯১৪ সালে। সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনা ৪-১ গোলে জয়লাভ করে। এরপর থেকে এই দুই দলের মধ্যে মোট ১০৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর্জেন্টিনা জয়লাভ করেছে ৩৮টি ম্যাচে, ব্রাজিল জয়লাভ করেছে ৩৩টি ম্যাচে, এবং ৩৪টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। দুই দল একে অপরের বিরুদ্ধে ৪০০ টিরও বেশি ম্যাচ খেলেছে, যার মধ্যে আর্জেন্টিনা ২০০টি, ব্রাজিল ১৮৪টি এবং ড্র ১১৬টি। আর্জেন্টিনা দুবার বিশ্বকাপ জিতেছে, ব্রাজিল পাঁচবার। দুটি দলই কোপা আমেরিকার ১৫ টি শিরোপা জিতেছে, আর্জেন্টিনা ৯টি এবং ব্রাজিল ৬টি।
আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল ম্যাচগুলি সর্বদা উত্তেজনাপূর্ণ এবং উত্তেজনাপূর্ণ
দুই দলের সমর্থকরা উভয়ই অত্যন্ত উত্সাহী এবং তাদের দলের প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করতে দ্বিধা করেন না। ম্যাচগুলি প্রায়শই উত্তপ্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় এবং বিতর্ক এবং মারপিটের ঘটনাও ঘটেছে।২০২১ সালের কোপা আমেরিকা ফাইনালে আর্জেন্টিনা ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল। এটি আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের মধ্যে প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপা ছিল। এই জয়টি আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল ম্যাচের ইতিহাসে
একটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত ছিল। আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল ম্যাচগুলি শুধুমাত্র ফুটবলের জন্য নয়, দক্ষিণ আমেরিকার সাংস্কৃতিক পরিচয়ের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচগুলি দুই দেশের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং বন্ধুত্বকে প্রকাশ করে।
২০২৩ সালের ম্যাচ
গত বছরের সেপ্টেম্বরে সাও পাওলোয় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি বিতর্কের কারণে ৮ মিনিট পরই স্থগিত হয়ে যায়। বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে এবারের বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ফাইনাল রাউন্ডের ম্যাচটি পুনরায় আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ২-০ গোলে জয়লাভ করে আর্জেন্টিনা।
এই ম্যাচটিতে আর্জেন্টিনা আক্রমণে ও রক্ষণে দুর্দান্ত খেলেছে। ম্যাচের ১৩ মিনিটে লিওনেল মেসির পাস থেকে গোল করেন লাউতারো মার্টিনেস। এরপর ২৩ মিনিটে মেসি নিজেই গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
ম্যাচের বাকি সময় ব্রাজিল চেষ্টা চালিয়ে গেলেও আর্জেন্টিনার রক্ষণকে ভাঙতে পারেনি। এই জয়ের ফলে আর্জেন্টিনা দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে শীর্ষে থেকে কাতার বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে।
২০২৬ সালের বিশ্বকাপ
২০২৬ সালে কাতারে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে এই দুই দলই অংশগ্রহণ করবে। এই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল উভয় দলেরই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনা দল বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দল। দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসি বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। এছাড়াও দলে রয়েছে লাউতারো মার্টিনেস, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, নিকোলাস ওতামেন্দি,
রদ্রিগো ডি পল, ইত্যাদি প্রতিভাবান খেলোয়াড়।
ব্রাজিল
ব্রাজিল দলও আর্জেন্টিনার মতোই শক্তিশালী। দলের অধিনায়ক নেইমার বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। এছাড়াও দলে রয়েছে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রবার্তো ফিরমিনো, অ্যালেক্স সান্দ্রো, থিয়াগো সিলভা, ইত্যাদি
প্রতিভাবান খেলোয়াড়।
জুয়া রিপোর্ট:
আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল
তারিখ: ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
প্রতিযোগিতা: কনমেবল বিশ্বকাপ বাছাই (চূড়ান্ত রাউন্ড)
ভেন্যু: এস্তাদিও দো মারাকানা, রিও ডি জেনিরো
প্রাক-ম্যাচ মতভেদ:
মানিলাইন:
আর্জেন্টিনা: +২২০
আঁকা: +২১০
ব্রাজিল: +১৪০
ওভার/অন্ডার ২.৫ গোল:
ওভার: +১১০
অধীনে: +১০৫
জনপ্রিয় বাজি:
আর্জেন্টিনা জিতবে: ৩৫%
অঙ্কন: ২৮%
ব্রাজিল জিতবে: ২২%
মেসি যেকোনো সময় স্কোর করতে পারেন: +১৬৩
নেইমার যে কোনো সময় স্কোর করবেন: +১৮৫
ম্যাচের ফলাফল: আর্জেন্টিনা ২-০ ব্রাজিল
বাজির প্রবণতা:
আর্জেন্টিনা প্রাক-ম্যাচ বাজির বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছিল, জয়ের জন্য তাদের উপর ৩৫% বাজি রাখা হয়েছিল। ড্র ছিল একটি অপেক্ষাকৃত জনপ্রিয় বিকল্প, ২৮% বাজি আকর্ষণ করেছিল। আন্ডারডগ হওয়া সত্ত্বেও, ব্রাজিল এখনও জয়ের জন্য ২২% বাজি পেয়েছে। যে কোনো সময় গোল করার জন্য মেসির বাজি জনপ্রিয় ছিল, যা আর্জেন্টিনার কাছে তার ফর্ম এবং গুরুত্ব প্রতিফলিত করে। নেইমার মেসির চেয়ে সামান্য বেশি স্কোর করার প্রতিকূলতা সহ উল্লেখযোগ্য বাজি খেলার আগ্রহও আকর্ষণ করেছিলেন।
মরক্কো বনাম ব্রাজিল
ইতিহাস
brazil vs morocco একে অপরের বিরুদ্ধে মোট ৭টি ম্যাচ খেলেছে। ব্রাজিল এই ম্যাচগুলোর সবকটিতে জয়লাভ করেছে। সর্বশেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২৩ সালের ২৫শে মার্চ, মরক্কোর টাঙ্গিয়ের শহরে। এই ম্যাচে মরক্কো প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল সমতা ফেরানোর পর শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে জয়লাভ করে।
২০২৩ সালের ম্যাচ
২০২৩ সালের ২৫শে মার্চ অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ছিল একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ। ম্যাচের শুরু থেকেই ব্রাজিল আক্রমণে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। কিন্তু মরক্কোর রক্ষণভাগ বেশ শক্ত ছিল। প্রথমার্ধের ২৯ মিনিটে মরক্কোর সোফিয়েন বৌফলের গোলে তারা এগিয়ে যায়। ৩২ মিনিটে আবদেলহামিদ সাবিরির গোলে মরক্কোর লিড দ্বিগুণ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল সমতা ফেরাতে চাপ বাড়ায়। ৫৬ মিনিটে ক্যাসেমিরোর গোলে তারা সমতায় ফেরে। ৭২ মিনিটে রবার্তো ফিরমিনো ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন। আর শেষ পর্যন্ত ৮৫ মিনিটে ফিরমিনোর আরেকটি গোলে ব্রাজিল ৩-১ গোলে জয়লাভ করে।
ম্যাচের বিশ্লেষণ
এই ম্যাচটি ছিল একটি উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ। মরক্কো প্রথমার্ধে বেশ ভালো খেলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায়। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সমতা ফেরে এবং শেষ পর্যন্ত জয়লাভ করে। ব্রাজিল এই ম্যাচে তাদের আক্রমণভাগের শক্তি প্রদর্শন করে। নেইমার, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রবার্তো ফিরমিনো এবং গ্যাব্রিয়েল জেসুসের মতো তারকারা মরক্কোর রক্ষণভাগকে বেশ বিপাকে ফেলে। তবে মরক্কোর রক্ষণভাগও বেশ ভালো খেলেছে। তারা বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ হাতছাড়া করেছে। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরো। তিনি তার দুর্দান্ত খেলায় ব্রাজিলকে সমতা ফেরাতে সাহায্য করেন।
পরিসংখ্যান
ব্রাজিল
গোল: ক্যাসেমিরো (৫৬’), রবার্তো ফিরমিনো (৭২’, ৮৫’)
অ্যাসিস্ট: নেইমার (৫৬’), রবার্তো ফিরমিনো (৭২’)
শট: ১৬
সফল শট: ৭
কোণা: ৪
ফাউল: ১২
কার্ড: ১
মরক্কো
গোল:
সোফিয়েন বৌফল (২৯’), আবদেলহামিদ সাবিরি (৩২’)
শট: ৯
সফল শট: ৪
কোণা: ৫
ফাউল: ১০
কার্ড: ১
উপসংহার
এই ম্যাচটি ছিল মরক্কোর জন্য একটি ভালো লড়াই। তারা প্রথমার্ধে ভালো খেলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায়। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সমতা ফেরে এবং শেষ পর্যন্ত জয়লাভ করে।
ভবিষ্যতের সম্ভাবনা এই ম্যাচটি থেকে বোঝা যায় যে, মরক্কো এখন আর বিশ্ব ফুটবলে একটি উপেক্ষিত দল নয়। তারা ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে। ভবিষ্যতে মরক্কো আরও ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারে।তবে ব্রাজিলও এখনও বিশ্বের অন্যতম সেরা দল। তারা যদি তাদের শক্তি ধরে রাখতে পারে, তাহলে ভবিষ্যতেও তারা বিশ্ব ফুটবলে শীর্ষে থাকবে। আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল, ফুটবলের দুটি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল। এই দুই দলের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধুমাত্র খেলার মাঠে সীমাবদ্ধ নয়, এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছড়িয়ে আছে সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রেও। ২০২৬ সালের কাতার বিশ্বকাপে এই দুই দলের মধ্যকার ম্যাচটি হবে দর্শকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।